পৃথিবীতে
কোন মানুষই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি চিন্তিত থাকতে পারে না। হাজার রকমের
চিন্তা মানুষের মনে বাসা বেঁধে থাকে। সম্প্রতি ব্লগ নিয়ে বাংলাদেশের মত
একটি অশিক্ষিত দেশের মধ্যে যে ধরনের আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে তা সত্যিই
বর্হিবিশ্বে নিন্দনীয়। মানুষের বাক্ স্বাধীনতার অবাধ বিচরণ ও প্রকাশ করার অনলাইন ভিত্তিক মাধ্যমই হচ্ছে ব্লগ সাইট। উন্নত বিশ্বে এই ব্লগ সাইটকে কাজে লাগিয়ে
নিজেদের উন্নয়ন সাধন করছে। অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের
কিছু উদ্যমী তরুণ দেশের অবস্থানকে আরো সদৃঢ় করার জন্য ব্লগ কর্মসূচি হাতে
নিয়েছে আজ থাকে ৫ বছর পূর্বে “সামহোয়ার ইন ব্লগ ডট নেট” নামে একটি ব্লগ সাইট এর মাধ্যমে। আর হেফাজতে
ইসলামের মত একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয়(?) সংগঠন দাবি করছে যে ব্লগ মানেই নাস্তিকতার
চিহ্ন। তাদের ধারনা পশ্চিমা বিশ্বকে অনুকরণ করেই তারা ব্লগ খুলে নাস্তিকতা প্রচার
করছে। বাংলাদেশের কিছু ধর্মীয় মৌলবাদে বিশ্বাসী জনগণের কাছে আরব দেশ ছাড়া বাকী সকল
দেশ হচ্ছে নাস্তিক আর অমুসলিম। আসলে যারা আল্লাহকে মানে তারাই "আস্তিক" আর যারা
মানে না তারাই হল "নাস্তিক"। সুতরাং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমা বিশ্ব হলো নাস্তিকের
কারখানা। কিন্তু মানুষের বাক স্বাধীনতা আছে যেটা হযরত মুহাম্মদ ও বলে গিয়েছেন। তাই
যারা ব্লগ করছেন তাদের কাছে একটি ছোট্ট অনুরোধঃ আপনারা ব্লগ বন্ধ করবেন না,মৌলবাদ
থেকেও বড় হচ্ছে দেশের সেবা। এটাই সবচেয়ে বড় ধর্ম। প্রত্যেকটা মানুষের স্বাধীন মতামতের সীমানা আছে। ফ্রিডম অফ স্পিচের প্রেক্ষাপটে, এই সীমানাটা
নির্ধারণের একটা তাত্ত্বিক ভিত্তি আছে। সেই
ভিত্তি টাকে বোঝার জন্যে, আমি জন স্টুয়ার্ট মিলের হেল্প নিব। স্টুয়ার্ট
মিল রে মুক্ত সমাজের ধারণার প্রধান তাত্ত্বিক হিসেবে ধরা হয়। স্টুয়ার্ট
মিল বলেছেন, "একজন
ব্যক্তির যে কোন বিষয়ে আলোচনা করার, মতামত দেয়ার এবং পর্যালোচনা
করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতে হবে, তা যতই অনৈতিক হোক।"