মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ (mtDNA) বলে দেবে মানব বিবর্তন
তথা অস্তিত্বের আদি ইতিহাস!!
আমরা
প্রায় দীর্ঘদিন ধরে বিবর্তন শব্দটির সাথে পরিচিত । বর্তমানে এই শব্দটির অর্থ
একেক জনের কাছে একেক রকম । চার্লস রবার্ট ডারউইন তাঁর
বিখ্যাত বই “ The
Origin of the Species (1859) ”-এ বিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক
নৈর্বচনিক মতবাদকে উপস্থাপিত করেছেন । তাঁর মতে মানুষের উৎপত্তি হয়েছে বানর জাতীয় মানুষ
(এইপ) থেকে । আর ধর্মতত্ত্ব মতে, মানুষ এসেছে আদম-ইভ্ কিংবা মনু-শতরূপা
থেকে । যে যাই বলুক না কেন ডিএনএ
তত্ত্ব আবিষ্কারের পর আজ মানব অস্তিত্বের রহস্য উন্মোচিত হতে যাচ্ছে । শুধু মানব অস্তিত্বের ইতিহাসই নয় বর্তমানে এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে ডিএনএ তত্ত্ব
কার্যকরী হয় না । ১৮৬৮ সালে ফ্রেডরিক মীসার নামে একজন তরুণ
সুইডিশ চিকিৎসক শীতকালে টুবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে “ফেলিক্স হোপ ছেইলার ” নামক
ল্যাবরেটরিতে শ্বেত রক্ত কনিকার উপাদানের উপর গবেষণা করতে গিয়ে ডিএনএ-এর
অস্তিত্বের সন্ধান পান । পরবর্তিতে আমেরিকান আণবিক বিজ্ঞানী জেমস ডি ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক ওয়াটসন ও
মরিস ভিকিনছ একসাথে গবেষনা চালিয়ে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর উপাদান আবিস্কার করেন । প্রাণি
জগতের সমস্ত জেনেটিক কোড ধরে রাখে এই ডিএনএ যাকে আমরা জিন (Gene) বলে থাকি । ডি এন এ (Deoxyribo nucleic acid) মূলত
অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন, এবং হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত মাইক্রোমলিকিউল
। এটি একটি নিউক্লিক এসিড যার
মাঝে বংশ বিস্তার, জীবের বেড়ে
ওঠা এবং তার সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য (জেনেটিক ইনফরমেশন) জমা থাকে । ডিএনএ যে কোন জীব কোষের নিউক্লিয়াস এবং সামান্য পরিমাণে
মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্ট-এ সঞ্চিত থাকে । নিউক্লিয়াসের মাঝে যে ডিএনএ থাকে তাকে নিউক্লিয়ার
ডিএনএ (nuclear DNA) আর
মাইটোকন্ড্রিয়ার মাঝে অবস্থিত ডিএনএ কে মাইটোকড্রিয়াল ডিএনএ (mtDNA) বলা হয় ।
কী এই মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ (mtDNA) ? কিংবা মানবের আদি পুর্বপুরুষ নির্ধারনে এর
ভূমিকাই বা কী ? এই mtDNA-র কাজ কি ? এ ধরনের প্রশ্ন
আমাদের মনে আসাটা স্বাভাবিক । ডি এন এ কে আমাদের বংশ বিস্তারের নীল নকশা
বলতে পারি । ডিম্বাণু
এবং শুক্রাণুর মিশ্রণের সময় শুক্রাণু -এর (mtDNA) বাদ যায় এবং শুধু মায়ের (mtDNA) এতে স্থান
পায় । তবে nuclear DNA
অপরিবর্তিত থাকে । এভাবে ডিএনএ পরীক্ষা করে
আমরা যে কার সাথে আমাদের আদি পূর্ব
পুরুষের পরিচয় মিলাতে পারি । তাহলে
দেখা গেল যে, mtDNA আসে মাতৃ-ডিম্বানু থেকে আর মায়ের mtDNA আসে তাঁর মায়ের কাছ থেকে । প্রতিটি জীবের দেহ লক্ষ লক্ষ কোষ দিয়ে গঠিত আর প্রত্যেকটি কোষে
আছে মাইটোকন্ড্রিয়া নামের শক্তি উৎপন্নকারী কিছু অঙ্গাণু । এই “পাওয়ার হাউজ”
নামে খ্যাত মাইটোকন্ড্রিয়াতে রয়েছে কিছু
গোলাকার ডিএনএ । জীবের বেশির ভাগ কোষে
(৫০০ থেকে ১০০০ সংখ্যক) mtDNA মলিকিউল
এর প্রতিরুপ ধারন করে যা মানুষের আদি বৈশিষ্ট্য (নিউক্লিয়ার ডিএনএ থেকে প্রাপ্ত
তথ্য থেকেও) নির্ধারণে আরো অধিক সহজে সাহায্য করে । মানুষের
দেহে mtDNA
জিনোম প্রায় ১৬০০ সংখ্যক Base Pairs দিয়ে গঠিত । পাশের
গোলাকার চিত্রটি দেখে অনেকে প্রশ্ন করতে পারে যে, mtDNA এর গঠন
কেন এমন ? বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীব কোষে অবস্থিত মাইটোকন্ড্রিয়া লক্ষ-কোটি বছর আগে একধরনের
ব্যাক্টেরিয়া ছিল যা জীব কোষ দ্বারা ভক্ষিত হয়েছে এবং জীবনের তাগিদে এটি কোষের
সাইটোপ্লাজমের মধ্যে স্থায়ী ভাবে অবস্থান নেয় । এটি কোষের
বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি (ATP) উৎপাদন করে আর বিনিময়ে কোষ তাকে সুরক্ষা
প্রদান করে । এতে করে তাদের মধ্যে একধরনের
সিমবায়োটিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ।
ব্যাক্টেরিয়া
একধরনের প্রোক্যারিওটিক বা আদি কোষ । তাই আদি কোষ হিসেবে mtDNA এর
মধ্যে ঐ ধরনের গঠন বিদ্যমান । তাছাড়া “এনডোসিমবায়োটিক
হাইপোথিসিস” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে , ব্যাকটেরিয়ার DNA ও
মাইটোকন্ড্রিয়াল DNA এর মধ্যে একটি সাধারণ সাদৃশ্য রয়েছে । ধারনা মতে তাদের উভয়ের
উৎপত্তিকাল ১.৭ বা
২ বিলিয়ন বছর আগে । অর্থাৎ, প্রায় আদি কোষ
শ্রেণিভুক্ত । যাই হোক, আমরা এখন
মানুষের পূর্বপুরুষ নির্ধারণে mtDNA কি ধরণের ভূমিকা পালন করে তা নিয়ে আলোচনা করব ।
বর্তনামে মানুষের অস্তিত্বের ইতিহাস জানার জন্য অনেকে জোর
দিচ্ছেন ফসিল (জীবাশ্ম) গবেষণার উপর । এক্ষেত্রে
আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে mtDNA বা মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ
। বেশ কয়েক
বছর ধরে বিভিন্ন গুহা থেকে প্রাচীন কঙ্কাল, দাঁত,হাড় ইত্যাদি
সংগ্রহ করে মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাচীন মানব-অস্তিত্ব খুঁজে
পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে । ২০০৮
সালে রাশিয়ার “Institute of Archaelogy and Erthnology of
Novosibirsk” -এর প্রত্নতত্ববিদরা সাইবেরিয়ার আল্টাই পর্বতের মধ্যে ডেনিসোভা নামক
গুহা থেকে হোনিড ( দুই পায়ে ভর
করে চলন্ক্ষম) প্রজাতির এক মেয়ের (প্রায় ৪১০০০ বছর পূর্বের ) আঙ্গুলের হাড় ও
আক্কেল দাঁত সংগ্রহ করেন এবং mtDNA বিশ্লেষণের মাধ্যমে মেয়েটিকে X-woman নামে আখ্যায়িত করেন ।
ডেনিসোভায় প্রাপ্ত মানব কঙ্কাল গুলোকে “ডেনিসোভান”
প্রাণি হিসেবে নামকরণ করেন । অপরদিকে “নিয়ানডার্থাল” নামের একটি জীবাশ্ম-নৃতাত্ত্বিক প্রজাতি প্লাইস্টোসিন যুগে বসবাস করতো । তাদের আবাসস্থল ছিল ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্য ও পশ্চিম অঞ্চলে । প্রায় ৬০০,০০০ - ৩৫০,০০০ বছর আগে
ইউরোপে প্রথম প্রাক-নিয়ানডার্থাল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব ঘটে । গবেষকদের মতে প্রায় পাঁচ লক্ষ বছর পূর্বে
নিয়ানডারথাল ও ডেনিসোভানরা আফ্রিকা ছেড়ে চলে যায় । নিয়ানডারথাল-রা মধ্যপ্রাচ্য ও
ইউরোপে পাড়ি দেয় । অন্যদিকে ডেনিসোভানরা পূর্ব দিকে যায় । প্রায় ৫০ হাজার বছর পূর্বে
তারা যখন এশিয়ার দক্ষিণ উপকূলের দিকে সরে যায় তখন অন্য মানবদের সঙ্গে প্রজনন ঘটে । হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডেভিস রিচ বলেন, ডেনিসোভানরা
সম্ভবত এশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে এসেছে । কিছুদিন আগে
ব্রিটিশ সাময়িকী “Nature”-এর বিজ্ঞানীরা কঙ্কাল নিয়ে নতুন এক
ধরনের তথ্য দিয়েছেন যে, মানবজাতির আদি পুরুষ বলে পরিচিত নিয়ানডারথাল
মানবের অজ্ঞতানামা এক প্রজাতি আবিষ্কার করেছে । ধারণা করা হচ্ছে, এরা ৩০-৫০ হাজার বছর পূর্বে এশিয়ায় অবস্থান করেছিল । ডেনিসোভান নামে পরিচিত মানবজাতি এই পূর্বপুরুষদের জিন কাঠামো শনাক্ত
করতে বিজ্ঞানীরা ডেনিসোভা গুহায় প্রাপ্ত হোনিড প্রজাতির মেয়ের আঙ্গুলের হাড় ও
আক্কেল দাঁত ব্যবহার করেছিল । উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র এই আঙ্গুলের হাড় ও আক্কেল
দাঁত ব্যবহার করে গোটা ডেনিসোভান সম্প্রদায়ের জিন কাঠামোটি শনাক্ত করতে সক্ষম হন ।
“Max Planck Institute for Evolution
Anthropology”–এর পরিচালক Svante Paboo
বলেন, “আমাদের এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ডিএনএ গবেষণা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে । বর্তমানে আমরা মানব জাতির হাজার বছরের ইতিহাস
জানতে সক্ষম হব । এই গবেষণার মাধ্যমে
ডেনিসোভান ও নিয়ানডার্থাল গোষ্ঠীর হোমিনিন দের লক্ষ বছরের পূর্ব
পুরুষের অস্তিত্বও খুব শীগ্রই বেরিয়ে আসবে ।”
“Centre
for Research on Human Evolution and Behavior”- এর পরিচালক Juan Luis Arsuaga
বলেন, “এই ধরনের অপ্রত্যাশিত ফলাফল আধুনিক মানুষ ও নিয়ানডার্থাল মানবদের উৎপত্তি ও বিবর্তনের জটিল
প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জানার পথ খুলে দিয়েছে । আমি আশা করি ভবিষ্যতে অধিক গবেষণা সাইমা গুহাতে প্রাপ্ত হোমিনিনদের
মধ্যে জীনগত সম্পর্ক আরও পরিষ্কার হবে । তবে এক্ষত্রে আরো আলাদা প্রানি থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করতে হবে
এবং নিঊক্লিয়ার DNA
সিকোয়েন্স নিয়েও গবেষণা করতে হবে ।”
অতএব সমাজ বিজ্ঞান অনুযায়ী প্রাচীন মানুষের গুহায়
বাস করার সত্যতা হয়তো আজ প্রমানিত হতে চলছে । যদি এই মতের কোন ত্রুটি থাকত তাহলে
এই প্রাচীন হোমিনিনদের কঙ্কালগুলো কেন
শুধুমাত্র হাজার বছরের পুরনো গুহায় পাওয়া যাচ্ছে ? এতো শুধু নমুনা মাত্র । এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরো আশ্চর্য্যজনক কোন কিছু
আবিষ্কৃত হবে যা মানব ইতিহাস সম্পর্কে আরো নিখুঁত ধারণা দিবে । বিজ্ঞানীদের এই
চলমান গবেষণা এমন এক সূত্রের সন্ধান দিবে যেটি ধরে এগুলে মানব সহ সমস্ত জীবের আদি
অস্তিত্ব তথা প্রাণ সৃষ্টির মূল উৎস সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে । আর এতে mtDNA-ই
প্রধান ভূমিকা পালন করবে । যেহেতু mtDNA শুধুমাত্র মাতৃ গোষ্ঠিতে বিদ্যমান অতএব
তার সূত্র ধরেই বের করা যাবে আদি মাতা ও তার সময়কাল । এভাবেই প্রকটিত হয়ে উঠবে
মানব বিবর্তন তথা অস্তিত্বের আদি রহস্য । যা কোন পৌরাণিক বক্তব্য নয় হয়ে উঠবে
প্রামাণিক ইতিহাস । সময়ের অপেক্ষা মাত্র ।
তথ্যসূত্রঃ
সায়েন্টিফিক
আমেরিকান
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি
চিত্র পরিচিতিঃ উপর থেকে নিচ
১। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ এর গঠন কাঠামো ।
২। ডেনিসোভা গুহা
৩। ডেনিসোভা হোমিনিন
4। ডেনিসোভা গুহায় প্রাপ্ত দাঁত ।
৫। Sima-গুহ
ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি তরুণদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে
সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি তরুণগোষ্ঠীকে এতোতাই আকৃষ্ট এবং প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর সান্নিধ্যে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করছে না। এর ফলে যৌন অক্ষমতা এখন তরুণদের মধ্যে প্রকট হতে শুরু করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল, ‘সাইকোলজি টুডে’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়টি এখন এতোটাই স্বাভাবিক ও সহজলভ্য হয়ে গেছে যে, মাত্র ২০ বছরের তরতাজা যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক যৌনাচরণ করতে পারছে না। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন উত্তেজনা তৈরিতে মস্তিষ্কে এক্সট্রিম উত্তেজনার (ডোপামাইন স্পাইক) প্রয়োজন হয়। আর মস্তিষ্ক এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তখন সাধারণ নারীদের প্রতি আর সেই উত্তেজনা আসে না এবং মস্তিষ্কও পূর্বের ন্যায় ঠিকমত কাজ করে না।
যৌন উত্তেজক গল্প, ছবি, ভিডিও—এগুলো আগেও ছিল। কিন্তু ইন্টারনেটের কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ এখন সবার নাগালের মধ্যেই। অনেক যুবকের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, তাদের ওপর এই ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতোটাই বেশি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণো না দেখলে তারা কোন যৌন উত্তেজনাই অনুভব করে না। ফলে এর প্রভাব অনেক বেশি ক্ষতিকর। কারণ তারা যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন জীবন আর স্বাভাবিক থাকছে না, তাদের কেউ কেউ খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। এছাড়াও অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
এর থেকে মুক্তির উপায় হলো পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। যার ফলে মস্তিষ্ক থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে স্বাভাবিক যৌন জীবনে ফিরে আসতেও পারে। উঠতি বয়সী তরুণদের কাছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের কল্যাণে ২৪ ঘণ্টাই হাতের কাছে পর্ণোগ্রাফি রয়েছে। আর তরুণরা এই বয়সে একবার পর্ণোগ্রাফি দেখাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পরবর্তী জীবনের ওপর সেটার প্রভাব কোন সুখকর সংবাদ নিয়ে আসবে না।
তাই পরিবারের প্রতিটি বাবা-মা’র ও অভিভাবকের উচিত, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। এক কথায় সন্তানদের সাথে খোলাখুলিভাবে পর্ণোগ্রাফির ভয়াবহতা তুলে ধরা। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ‘যৌন শিক্ষা’ আর ‘যৌন মিলন’ সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। তাই সময় থাকতেই পর্ণোগ্রাফির ভয়াবহতা পৌঁছে দেয়ার স্বার্থে এ বিষয়ে পারিবারিক আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ত্ব পরিবারের প্রতিটি অভিভাবকের।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
মেয়েদের অন্তর্বাস পরিধান কাজের নাঃ ফরাসী গবেষকের দাবি
মেয়েদের অন্তর্বাস তাদের স্তনকে কখনই নিয়ন্ত্রণে রাখে না এমনকি তা পিঠের ব্যাথা থেকেও পরিত্রাণ দেয় না। পূর্ব ফ্রান্সে অবস্থিত বেজানসন বিশেবিদ্যালয়ের খেলাধুলার বিজ্ঞান বিষয়ক অধ্যাপক জিন ডেনিস রুইলনের ১৫ বছরের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তবে এটি সকল মহিলাদের ক্ষেত্রে সত্য নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন রুইলন। তাঁর মতে, “এটি শুধুমাত্র সেসব মেয়ে বা মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা নতুন নতুন অন্তর্বাস পরা শুরু করেন”। তবে স্তন বিশেষজ্ঞদের মতে, “মেয়েদের অন্তর্বাস পড়ার মূল কারণ ফ্যাসন। এটি আসলে তথাকথিত তেমন কোন কাজের কাজ করে না”।
এক জোড়া D-কাপ স্তনের ওজন ১৫ থেকে ২৩ পাউন্ডের মতো। তবে এ গবেষণায় দেখা গেছে, স্পোর্টস অন্তর্বাস স্তনের প্রসারণশীল লাফানো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। যদিও এর আগে মেয়েদের স্তনের লাফানোর পদ্ধতি নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে।
১৯৯৭ সাল থেকেও রুইলন ও তার দল ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মহিলার স্তনের উপর এ গবেষণা করে আসছেন। এ সময় তারা মহিলাদের স্তনের স্থিতিবিন্যাসে ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। রুইলন জানিয়েছেন, “১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এসব মহিলাদের পুরো স্তন বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্বাসে পরিবেষ্টন করা হয়েছিলো”।
গবেষকরা দেখেছেন, যে সব মহিলারা অন্তর্বাস পরিধান করেন না তাদের স্তনের বোটা বছরে গড়ে ৭ মিলিমিটার উপরের দিকে লাফায় এবং স্তন দৃঢ় হয়। এর কারণ হিসেবে রুইলনে বলেন, “যখন কোন মহিলা অন্তর্বাস পরিধানে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন স্তনের কলাগুলো (টিস্যু) বর্ধিত হয়না। ফলে স্তন অনেকটা নির্জীব হয়ে যায় এমনকি জমাট বাধার মতো একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়”।
রুইলনের মতে, মেয়েদের অন্তর্বাস পরিধানের তেমন কোন যৌক্তিক প্রোয়োজন নেই। তিনি মহিলাদের প্রতি সতর্কবাণী করে বলেন, “যে সব মহিলারা বছরের পর বছর ধরে স্তনের জন্য অন্তর্বাস ব্যাবহার করে আসছেন, তাদের আসলে লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণটাই বেশি। তাই এখনই সময় সেসব তথাকথিত অন্তর্বাস পরিত্যাগ করার। তবে আপনি যদি ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী না হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রজোয্য নাও হতে পারে”।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
ধেয়ে আসছে তীব্র গতির সৌরঝড়!
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সৌরঝড় নিয়ে আশঙ্কার কথা বেশ কয়েক বছর ধরেই বলে আসছিলেন। এবার কিন্তু আর আশঙ্কা নয়- পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে সৌরঝড়। গতকাল বুধবার এমনই পূর্বাভাস দিল নাসা।
নাসা জানায়, মঙ্গলবার মহাকাশে সৌরকণার নিষ্ক্রমণের ফলে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫৭০ মাইল বেগে লক্ষ লক্ষ কণিকা নির্গত হয়েছে। যার ফলে মহাকাশে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হওয়ায় আগামী শুক্রবারের মধ্যেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে সৌরঝড়। গত ফেব্রুয়ারিতেই মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, এই ঝড় অনেকটা হ্যারিক্যান-ক্যাটরিনা স্টাইলের মতো ভয়ঙ্কর হতে পারে।
সৌরঝড়ে প্রাণের আশঙ্কা না থাকলেও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে স্যাটেলাইট, এমনকী ইলেকট্রনিক সিস্টেমও। ফলে বিচ্ছিন্ন হতে পারে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ। সেই সঙ্গে এই সৌরঝড়ের ফলে যে রশ্মিবিকরণ ছড়িয়ে পড়বে তাও বেশ ক্ষতিকর বলে তারা জানিয়েছেন। এমনকি এই ঝড় যদি খুব শক্তিশালী হয়, তাহলে শেয়ার মার্কেটেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সেই সঙ্গে মাসের পর মাস বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন- আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা।
সেই সঙ্গে নাসার এই প্রাক্তন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, “সৌরঝড় হওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ঠিক কোন সময়ে এই সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানবে সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন”।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনস্ট্রেশন (নোয়া)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার’র আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জোসেফ কুনশে বলেছেন, “চলতি সপ্তাহেই এ সৌরঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) স্যাটেলাইটগুলোর ক্ষতি করতে পারে। একই সাথে মিনেসোটা এবং ওয়েসকনসিন অঞ্চলের দক্ষিণে মেরুজ্যোতি’র সৃষ্টি হতে পারে। কারণ অতীতের ঝড়গুলোও এ ধরনের বেশকিছু ক্ষতির নজির রেখে গেছে”।
[মেরুজ্যেতি এক ধরনের আলোকচ্ছটা। উত্তর গোলার্ধে এটি অরোরা বোরিয়ালিস (aurora borealis) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে অরোরা অস্ট্রালিস (aurora australis) নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, মহাশূন্যের আধানযুক্ত কণার সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সংঘর্ষের কারণে এই আলোকছটার সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে দুই মেরুর কাছে এটি বেশি দেখা যায়। ]
এ প্রসঙ্গে আমেরিকার ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনস্ট্রেশনের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ক্যাথরিন সুলিভান জানিয়েছেন, “এই সৌরঝড়ের ফলে বেশ কয়েকটি বড়সড় বিস্ফোরণও হতে পারে। এমনকি বিকল হয়ে যেতে পারে কম্পিউটারও”। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রতিটি দেশকেই সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হবে।
১৯৭২ সালে হওয়া সৌরঝড়ে আমেরিকার ইলিনিয়েস প্রদেশের টেলিফোন ব্যবস্থা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর ১৯৮৯ সালে এই বিরূপ প্রভাবের সাক্ষী হয়েছে কানাডার কিউবেক এলাকার প্রায় ছয় লাখ বাসিন্দা। এ সময় হালকা মাত্রার সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল কানাডায়। সেখানকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা কয়েকদিনের জন্য অকেজো হয়ে গিয়েছিল। ফলে সব গ্রিড বসে যাওয়ায় ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিল গোটা কানাডা জুড়েই। এরও আগে ১৮৫৯ সালে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা। তখন ঠিক কি হয়েছিল তা জানা যায়নি। কারণ তখন পৃথিবীতে বেতার বা রেডিওই আবিষ্কার হয়নি।
কিন্তু এবারে সৌর ঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের মারাত্মক খারাপ প্রভাব বাড়বে। কারণ এখনকার দুনিয়া অতি মাত্রায় প্রযুক্তি নির্ভর। অত্যাধুনিক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জটিল প্রযুক্তি ও উপগ্রহ নির্ভর পরিসেবার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। ফলে সৌরঝড়ের তীব্রতায় ভেঙে পড়তে পারে গোটা ব্যবস্থাটাই। সেই সঙ্গে ওজোন স্তর পৃথিবীর যেসব জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রও ভারসাম্য হারাতে পারে। নেভিগেশন সিস্টেম পুরোপুরি বসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গোটা বিশ্বেই। বিশ্বজুড়ে রেডিও ও বৈদ্যুতিন তরঙ্গ কাজ করবে না দফায় দফায়। অকেজো করে দেবে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর দৈনন্দিন জীবনকে।
২০০৮ সালে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল পরিচালিত এক গবেষণার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সৌরঝড় সত্যি সত্যি পৃথিবীতে আঘাত হানলে বিশ্বে অন্তত দুই ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে।
ইরান-পাকিস্তান
সীমান্তে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প: নিহত ৫২
আজ ১৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইরানের ভূকম্পন পরিমাপ কেন্দ্র (আইআরএসসি) এ খবর জানিয়ে বলেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল প্রদেশের সারাভান শহর থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তরে। ভুমিকম্পে এ কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ইরানে নিহত হয়েছে ৪০ জন। উদ্ধার ও ত্রাণ ততপরতা শুরু হয়েছে ভুমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে ।
এদিকে, পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তানের বালুচিস্তানের পাঞ্জগুর ও মাশখিল এলাকায় ১২ জন নিহত এবং এক হাজারের বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে করাচিতে ছাদ ধ্বসে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আমেরিকার ভূতাত্বিক জরিপ কেন্দ্র (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ইরানের সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশে আজকের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৮ এবং এটি এত বেশি শক্তিশালী ছিল যে তার কম্পন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান এবং সৌদি আরব থেকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বলা হচ্ছে- ৪০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের ঘটনা।
উল্লেখ্য, গত ১০ই এপ্রিল বুধবার, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহরের কাছে কাকি শহরে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করেছিল। এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত ও ৮৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
সুত্রঃ রেডিও তেহরান।
থ্রী ডি প্রযুক্তির মোবাইল ফোন
সিনেমা হলের পর্দায় বা ঘরে স্মার্ট টেলিভিশনের পর্দায় থ্রী-ডি বা ত্রিমাত্রিক ছবি দেখতে আমরা সাহধারণত থ্রী-ডি চশমা ব্যবহার করে থাকি। তবে ভবিষ্যতে এই থ্রী-ডি চশমার হয়তো আর দরকার হবে না। এমনকি পর্দার সামনে বসেও থাকতে হবে না। কারণ প্রযুক্তিবিদরা এমন একটি থ্রী-ডি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন, যেটি মোবাইল ফোনের মত ছোট ডিজিটাল ডিভাইসে কাজ করবে।এই থ্রী-ডি প্রযুক্তির ব্যবহার চলচ্চিত্রে, বা বিভিন্ন ধরণের গেমে যে ব্যবহার করা যাবে তা হয়তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদরা এর থেকে আরও অনেক বেশি সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তাদের ধারনা, বহুদূর থেকে যন্ত্রের মাধ্যমে রোগীদের শল্যচিকিৎসা থেকে শুরু করে, বাড়ী নির্মাণের মতো আরও অনেক কাজ করা যাবে নতুন এই আবিষ্কৃত থ্রী-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
অয়েলারের
জন্মদিনে গুগলের বিশেষ ডুডল
বিখ্যাত সুইস গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ লিওনার্দ অয়েলারের ৩০৬ তম জন্মদিনে ডুডলিং
শ্রদ্ধা জানিয়েছে গুগল।
সর্বকালের অন্যতম সেরা এই গণিতজ্ঞ ১৫০৭-এর ১৫ এপ্রিল সুইৎজারল্যান্ডের বাসেলে জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক গণিতের বেশির ভাগ পরিভাষা অয়েলারেরই সৃষ্ট। জ্যামেতি, ক্যালকুলাস, ত্রিকোণমিতি, বীজগণিতে ও সংখ্যা তত্ত্বে অয়েলারের অবদান অতুলনীয়। এছাড়াও কন্টিনাম পদার্থ বিদ্যা ও লুনার থিওরি নিয়েও এই সুইস বিজ্ঞানী প্রভুত কাজ করে গিয়েছেন। তাঁর নাম থেকেই ক্যালকুলাসে `e`-র প্রচলন হয়েছে। ক্যালকুলাসে e=২.৭১৮২৮। এছাড়াও ইউলেরের কন্সট্যান্টও ক্যালকুলাসের একটি অত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
১৭২৭ সালে ইউলার সুইৎজারল্যান্ড ছেড়ে রাশিয়াতে চলে আসেন। ১৭৩৫
সালে তিনি এক
চোখের দৃষ্টি শক্তি হারান। কিন্তু সেই প্রতিবন্ধকতাকে অগ্রাহ্য করে ১৭৭৫ সাল পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে অঙ্ক
নিয়ে একটি করে গবেষণা মূলক পেপার
প্রকাশ করতেন।
লেখাটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম এর সন্ধান পাওয়া গেল বাংলাদেশে!
গত দুই দশক ধরেই জোর গুঞ্জন ছিল, বাংলাদেশের মাটিতে উত্তোলনযোগ্য ইউরেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনটি সত্যি হয়ে ধরা দিল বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) এর রিপোর্টে। দেশের বৃহত্তর তিন নদী পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনায় এবং সিলেট বিভাগ ও ময়মনসিংহে নদীবাহিত বালুতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম রয়েছে বলে জানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকায় মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। সেখানে সবচেয়ে দামি খনিজ প্লাটিনাম রয়েছে বলেও শোনা গেছে। তবে সরাসরি নয়, এই ইউরেনিয়াম বাণিজ্যিকভাবে আহরণের পর বিশ্ববাজারে বিক্রি করা যাবে।”
যেভাবে শুরুঃ জিএসবি পূর্বে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ের আশেপাশের এলাকায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান পেয়েছিল, যদিও তা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ছিল না। ১৯৮৯ সালে উল্লিখিত নদীগুলোয় উজান থেকে বয়ে আনা বালুতে গুরুত্বপূর্ণ ভারী খনিজ ও রাসায়নিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে সরকার কার্বন মাইনিং বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনার প্রায় চার হাজার হেক্টর চরাঞ্চল অনুসন্ধান জরিপের জন্য নির্দেশ দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কুড়িগ্রাম জেলার যমুনার বালুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইউরেনিয়ামসহ কয়েক প্রকার ভারী খনিজের নিশ্চিত উপস্থিতি রয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যকে সুত্র ধরে জিএসবি পদ্মা, যমুনার বালুর রাসায়নিক ও খনিজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়। এর অধীনে পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার অন্তত ১০টি স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ২০ মিটার গভীরতা থেকে বালুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যা দেশে ও বিদেশের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, ওই নদীগুলোর বালুতে আহরণযোগ্য ভারী খনিজ ও রাসায়নিকের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। বানিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের জন্য যেখানে ৭ শতাংশই যথেষ্ট। প্রতি ১ টন বালুতে যদি ১ গ্রাম ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলেই বাণিজ্যিকভাবে আহরণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ” বিষয়টি সম্পর্কে নিবিড় জরিপ ও অনুসন্ধানের জন্য জিএসবিকে একটি প্রকল্প তৈরি করতে বলা হয়েছে। এটি তৈরির প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে আছে।”
জিএসবির মহাপরিচালক সিরাজুর রহমান খান বলেন, “কার্বন মাইনিং অনুসন্ধান এবং জিএসবির বিশেষ কার্যক্রমের ফলাফল প্রায় একই রকম ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক। অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
শূন্যস্থানে আলোর গতি ধ্রুব নয়ঃ বদলে দেবে অনেক হিসেব
আলোই শেষ কথা বলে না। গতির দম্ভে যুগ যুগ সেরার শীর্ষে থাকা ফোটন কণার স্থির গতির দিন ফুরালো বলে। ফ্রান্সের কণা পদার্থবিদরা দাবি করলেন , শূন্যস্থানে আলোর গতি ধ্রুব নয়। এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে আবার নতুন করে লিখতে হবে কণা পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক তত্ত্বকে।
বিজ্ঞানীদের কাছে চলে যাওয়া নোবেল ফেরানো নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। হাজারো গবেষণা, তত্ত্বের সমাধি হয়ে যাবে নিমেষে। আধুনিক কণা পদার্থের জনক অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের E=mc2 ভবিষ্যৎ অন্ধকার মানতেই মাথা ঘুরে যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। তবু ফলিত বিজ্ঞানকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্থান এবং সময়ের ধারণা। স্থান-কাল সম্পর্কে আমাদের বর্তমান জ্ঞানকে প্রকাশ করার একটি সুন্দর উপায় হলো আলোর গতি। মহাবিশ্বকে আমরা কীভাবে পর্যবেক্ষণ করি, তার সঙ্গে আলোর (তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ) সরাসরি সম্পর্ক থাকা এবং আলোক কণিকার (ফোটন) ভর শূন্য হওয়ার সুবাদে মহাবিশ্বে আলোর গতির একটি বিশেষ অবস্থান আছে। বিশ শতকের শুরুর দিকে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুসারে আলোর গতি পর্যবেক্ষকের ওপর নির্ভরশীল নয় (রেলস্টেশনে একটি ট্রেন যখন চলতে শুরু করে, তখন যাত্রীদের কাছে মনে হয় যে আসলে স্টেশনটিই পেছন দিকে চলছে; তার কারণ ট্রেন এবং স্টেশন উভয়ের গতিই পর্যবেক্ষকের ওপর নির্ভরশীল) এবং কোনো বস্তুই আলোর চেয়ে বেশি বেগে যেতে পারবে না। গত ১০০ বছরে পদার্থবিজ্ঞানের যত আবিষ্কার, তার প্রায় সবই এই ধারণার ওপর নির্ভরশীল।
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ১৯০৫সালে তাঁর বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বটি প্রকাশ করেন। এখানেই জানা যায় কণা পদার্থবিজ্ঞানের সেই চিরস্মরণীয় সেই গাণিতিক সূত্র E=mc2। এখানে ‘E’ শক্তি, ‘m’ পদার্থের ভর আর ‘c’ আলোর গতি। এই সূত্রে প্রথম শক্তির সঙ্গে পদার্থের সহজ সম্পর্ক তৈরি করে দেন আইনস্টাইন। পদার্থ কীভাবে শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তা বুঝতে এখনো এই সূত্রই কণাবিজ্ঞানের শেষ আশ্রয়। তবে এটাও ঠিক কোন কণাকে আলোর গতির কাছাকাছি নিয়ে গেলে তার আর ভর থাকে না। ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। তাই কোন বস্তুকে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে নিয়ে যেতে পারলে তা শুধু প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করবে না E=mc2 সূত্রের অবাধ্য হয়ে যাবে। কারণ ঐ অবস্থায় কণাটি কত শক্তি দেবে তা মাপা সম্ভবপর হবে না। ফলত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তির নিয়ে এতদিনের মহাবিস্ফোরণের তত্ত্ব (বিগ ব্যাং) এককথায় খারিজ হয়ে যাবে। পাঠকরা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, শূন্যস্থানে তথাকথিত আলোর চেয়ে বেশি গতির কণা কত মারাত্মক উলোটপুরাণ শুরু করবে!
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম বড় ল্যাবরেটরি স্যার্নের বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিউট্রিনো নামের একটি কণা আলোর গতির চেয়ে ০.০০২৫ শতাংশ বেশি গতিতে গতিমান ছিল!
সে সময় জেনিভার কাছে ভূগর্ভে গবেষণাগার ‘সার্ন’ থেকে কাতারে কাতারে ছোড়া হয়েছিল বিশেষ জাতের কণা ‘নিউট্রিনো’। মাটি ফুঁড়ে সে কণারা গিয়ে পৌঁছয় ৭৩০ কিলোমিটার দূরে ইতালির গ্রান সাসো পাহাড়ে অন্য এক গবেষণাগারে। দেখা যায়, নিউট্রিনো ছুটছে সেকেন্ডে প্রায় ৩০০,০০৬,০০০ মিটার বেগে। ওই দূরত্ব পাড়ি দিতে আলোর লাগত ১ সেকেন্ডের ১০,০০০ ভাগের ২৩ ভাগ সময়। কিন্তু নিউট্রিনো কণাদের লেগেছে তার চেয়ে ১ সেকেন্ডের ১০০,০০০,০০০ ভাগের ৬ ভাগ কম সময়। অর্থাৎ নিউট্রিনোরা ছুটতে পারে আইনস্টাইন-কল্পিত গতিসীমা ছাড়িয়ে।
তাই নতুন এই তথ্য কতটা সত্যি সেটা নিয়ে শুরু হয় গবেষণা। অবশেষে অ্যামেরিকার বিখ্যাত জার্নাল ‘সায়েন্স ইনসাইডার’এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে স্যার্ন তথা ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সম্ভাব্য দুটি ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়৷ এর একটি ‘লুজ’ অর্থাৎ ঢিলা অপটিক্যাল ফাইবার কানেকশন – যে কারণে সময় গণনায় ভুল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আর আরেকটি ত্রুটি হতে পারে ‘অসিলেটর’। এটাও সময় গণনার একটি যন্ত্র। এরপর স্যার্নের পক্ষ থেকেও তাঁদের ভুলের কথা স্বীকার করে নেওয়া হয় এবং বলা হয় আবার নতুন করে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
যেই কথা সেই কাজ। পরবর্তীতে তারা আবারও একটি নিউট্রিনো বিষয়ক পরীক্ষা চালান। এখানেই দেখা গেলো ভিন্নতা। তারা আগের বার নিউট্রিনোর গতিতে যে ফলাফল পেয়েছিলেন, এখানে তার চেয়ে কিছুটা কম বা সমান গতি পাওয়া গেলো। আর এতেই বাধলো বিপত্তি। যে ফলে নতুনভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেল আগে যেটা বলা হয়েছিল সেটা ভুল৷নতুন এই পরীক্ষাটা চালান স্যার্নেরই আরেক দল বিজ্ঞানী৷দ্বিতীয়বারে নিউট্রিনোর গতি আলোর গতিকে অতিক্রেওম করতে পারলো না। ফলা বরাবরের মতই আইনস্টাইনই টিকে যান। আর সার্নের বিজ্ঞানীরা হতবাক হয়ে নিউট্রিনোকে ‘ভূতুরে কণা’-র উপাধি দেন।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
ব্রিটিশদের সামাজিক সাইটে আসক্তি বাড়ছে
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ানপোল জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের সাইট ব্যবহারে ব্রিটিশদের আসক্তি বাড়ছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ ব্রিটিশের ওপর চালানো এক জরিপ থেকে তারা এ তথ্য পেয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক ও টুইটারে ব্রিটিশরা প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। এর মধ্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ ঘণ্টা ফেসবুকে এবং ২ কোটি ৮০ লাখ ঘণ্টা টুইটারে ব্যয় করেন তারা।
যুক্তরাজ্যের ৩ কোটি ৩০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী নারীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ দিনে ১ ঘণ্টা এবং ১৩ শতাংশ ১ ঘণ্টার বেশি ফেসবুকে ব্যয় করেন। নারী ব্যবহারকারীদের ২৬ শতাংশ দিনে ১০ বার তাদের ফেসবুক পেজ দেখেন। পুরুষ ব্যবহারকারীদের এ প্রবণতা ১৬ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাজ্যের ২ কোটি ৬০ লাখ টুইটার ব্যবহারকারীর ৩১ শতাংশ দিনে ১ ঘণ্টা এবং ১৪ শতাংশ দিনে ১ ঘণ্টার বেশি টুইটারে সময় কাটান। যুক্তরাজ্যে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহারকারীদের ৫৯ শতাংশের প্রথম পছন্দ ফেসবুক বলে জানা যায়। যেখানে ৯ শতাংশের প্রথম পছন্দ টুইটার এবং ৭ শতাংশ ব্যবহারকারী লিংকডইনকে প্রথম পছন্দ বলে উল্লেখ করেন।লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
১০০০ বছরে মানব জাতির অস্তিত্ত্ব থাকবে নাঃ স্টিফেন হকিং
শূন্য ত্বরণের অভিজ্ঞতা নেয়া বিখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার পুরোটা কর্মজীবন মহাবিশ্বের অলংকরণে নিয়োজিত রেখেছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, স্থানের অনবরত প্রসারণ মানব জাতির জন্য মোটেও সুখকর সংবাদ নিয়ে আসবে না।
৭১ বছর বয়সী হকিং মনে করেন, আগামী ১০০০ বছরে মানব জাতির অস্তিত্ত্ব থাকবে না, যদি না তারা নশ্বর এ পৃথিবীর বিকল্প খুঁজে পায়। ইংরেজ এই পদার্থবিদ গত মঙ্গলবার সিডার্শ সাইনাই মেডিক্যাল সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সদের এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন। সে সময় তিনি একটি স্টেম সেল ল্যাবরেটরি উদ্ভোধন করেন।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে স্টিফেন হকিং ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় মটর নিউরন নামের এক নিউরোলজিকাল রোগে আক্রান্ত হন। এর ফলে তার পুরো শরীর অচল হয়ে গেলেও সফলতার সাথেই তিনি তার পড়াশুনা চালিয়ে যান এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, তিন বেশ সফলভাবেই তার গবেষোণা কর্ম চালিয়ে এসছেন এবং নিজেকে পদার্থবিদ্যার এক শক্তিমান বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি কখনো বুঝতে পারেন মহাবিশ্ব কিভাবে পরিচালিত হয়, তবে আপনি নিজেই তা কোন না কোনভাবে পরিচালনা করতে পারবেন”।
স্টিফেন হকিং কৃষ্ণ গহ্বর (ব্ল্যাক হোল) ও কসমসের উৎপত্তি তত্ত্ব প্রদানের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও তাঁর বিখ্যাত বই ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’-এর মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার রহস্যময় ভরের ধারণা তাঁকে এনে দিয়েছে পদার্থবিদ্যার অন্যতম সেরা বিজ্ঞানীর খেতাব। বইটি সারা বিশ্বে প্রায় ১ কোটিরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। সিডার্শ সাইনাই মেডিক্যাল সেন্টারে তাঁর ১ ঘন্টাব্যাপী দীর্ঘ বক্তব্যকে ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব মাইন’ বা ‘আমার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ বলে নামকরণ করেছেন।
তিনি বলেন, “জীবন যতোই কঠিন হোক না কেন, সফল হওয়ার মতো অনেক কিছুই করার আছে”।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্টিফেন হকিং-কে তার কর্মের জন্য ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রীডম’-এ পুরষ্কৃত করেন।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
মেয়েরা কেন মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়ে?
ছেলে-মেয়েদের প্রেম নিয়ে পূর্বে অনেক গবেষণা হলেও এবারেরটি একটু ভিন্ন ধরণের। মেয়েরা কেন মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়ে, এবারের গবেষণা এ ব্যাপারটি কে নিয়েই। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আদ্রিয়ান ফার্নহাম তার একটি গবেষণায় দেখেছেন, বেশির ভাগ মেয়েই সাধারণত মন্দ ছেলেদের প্রেমে পড়েথাকে, যাদেরকে আমরা সহজ ভাষায় বখাটে বলে থাকি। তিনি জানিয়েছেন, মন্দ বৈশিষ্ট্যের ছেলেরাও অনেক মেয়ের কাছে আকর্ষণীয়। ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড ইন্ডিভিজ্যুয়াল ডিফারেন্সেস’ সাময়িকীতে এ গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে – খামখেয়ালিপূর্ণ, রোমাঞ্চবিলাসী, খুঁতখুঁতে এবং আগ্রাসী মনোভাবের ছেলেদের অনেক মেয়ে পছন্দ করে থাকে। নতুন গবেষণা অনুযায়ী, মন্দ চরিত্রের পুরুষেরা রোমাঞ্চ বিলাসী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়ায় অনেক নারী তাদের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে কারও আলোকিত দিকের চেয়ে খারাপ দিকও অনেক সময় অন্যের মনে সহানুভূতি সৃষ্টি করে। এ ধরনের পুরুষ কোনো পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ কিংবা হিসাব নিরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ভালো হতে পারে এটি গবেষণায় দেখিয়েছেন আদ্রিয়ান ফার্নহাম। তারা অনেক ক্ষেত্রেই সৃষ্টিশীল এবং ভালো বক্তা। আর তাই তাদের প্রতি স্বভাবতই নারীরা একটু বেশি ঝোঁকে।
লেখাটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
মানুষের মস্তিষ্ক জিপিএস সিষ্টেমের মত কাজ করে
আমেরিকার প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা সম্প্রতি মানুষের আভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপের সাথে
জিপিএস সিষ্টেমের মিল খুঁজে পেয়েছেন। তারা দেখেছেন যে মানব মস্তিষ্কের অবস্থান সনাক্তকারী
স্নায়ু কোষ সমূহ (যাদেরকে গ্রিড সেল বলা হয়) সামষ্টিক ভাবে কাজ করে আমাদের
চারপাশের বস্তুসমুহের অবস্থান নির্দেশ করে।
২০০০ সালে সর্বপ্রথম গ্রিডসেলের সন্ধান
পাওয়া যায় পশুপাখির মস্তিষ্কে। এই স্নায়ু কোষ গুলো বৈদ্যুতিক ভাবে সক্রিয় থাকে যখন জীব
জন্তুরা চলাফেরা করে। প্রফেসর ডেবিট ট্যাঙ্ক এবং হেনরি এল হিলম্যান বলেন যে ‘গ্রিডসেল সমূহ চার পাশের স্থানের প্রতিলিপি গঠন করে’। অর্থাৎ চারপাশের স্থানকে কমপিউটারের মনিটরের পিক্সেল
গুলোর মত ছোট ছোট অংশে ভাগ করে এবং ক্রমানুযায়ী প্রতিটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য একেকটি স্নায়ুকোষ
সক্রিয় থাকে।
কম্পিউটার যেভাবে হিসাব করে মাউস
পয়েন্টারের গতিবিধি মনিটরে প্রদর্শন করে, মস্তিষ্কও সেভাবে কোন পরিবেশে আমাদের অবস্থান ও চলমান বস্তু
গুলোর গতিবিধি
নির্দেশ করে। জিপিএস সিস্টেমও এই পদ্ধতিতেই কাজ করে।
লেখাটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ এই গবেষণাকেন্দ্রটি নির্মানে ব্যয় হয় প্রায় ৮ হাজার কোটি ইউ এস ডলার।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
গবেষণায় ১ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে এমন কিছু ছবি দেখানো হয় যেগুলোতে বিভিন্ন অভিব্যক্তির চেহারা ফুটে উঠেছে। এরপর ভাললাগার ভিত্তিতে ছবিগুলোকে নাম্বার দিতে বলা হয়। ছবিগুলোতে কিছু ভাবলেশহীন চেহারাও ছিল। এরপর দেখা যায়, মেয়েরা সবচেয়ে কম আকৃষ্ট হয়েছে হাশিখুশি পুরুষদের প্রতি। অন্যদিকে, গর্বে যাদের মাথা উঁচু তাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। এছাড়া লাজুক চেহারার ছেলেদের প্রতিও তাদের আকর্ষণ দেখা গেছে।
গবেষকরা বলছেন, হাশিখুশি মেয়েদের অনুগত হিসেবে দেখা হয় বলে সম্ভবত ছেলেরা তাদের পছন্দ করে। অন্যদিকে, গবেষক জেসিকা ট্রেসি বলেছেন, “গর্ব হতে পারে পুরুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনসঙ্গিনী ও সন্তান ভরণ পোষণ করার মত সামর্থ্যরে ইঙ্গিতবাহী সূচক।” গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব ছেলের চেহারায় গর্ব ও লজ্জার অনুভূতি ফুটে উঠে তারা সহজেই নারী হৃদয় জয় করতে পারে।
গবেষনার জন্য আবারও প্রস্তুত লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার
মেরামতের পর আবারও গবেষনার জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত হল লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারন(এলএইচসি)। ২০১৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই গবেষণাকেন্দ্রের কার্যক্ষমতা দ্বিগুণ করার কাজ চলছে।লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারন(এলএইচসি)কয়েকজন বিজ্ঞানী ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে এটা জগতের রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি যা গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি সমুহের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদের সম্পর্কে গুরুত্তপূর্ণ তথ্য পেতে সাহায্য করবে। অনেকে আবার বলেছেন এখান থেকে অজানা কিছু কনার সন্ধান অথবা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে যা থেকে বুঝা যাবে স্থানের তিনটির অধিক মাত্রা রয়েছে। এসব সপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে কয়েকশ জন ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রযুক্তিবিদ মিলে ফ্রান্স সুইজারল্যান্ড সিমান্তে ভূ-গর্ভে অবস্থিত ২৭ কিলোমিটার পরিধি ব্যাপি বিস্তৃত এলএইচসি’র জটিল সব যন্ত্রপাতি হালনাগাদ করে যাচ্ছেন।আগামী দুই বছরের মধ্যে এটা অনু-পরমানুর অতিক্ষুদ্র জগত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে যা ‘বিগ ব্যাং’ এর পর ১৩.৮ বিলিয়ন বছর ধরে গড়ে উঠেছে।২০০৮ সালে এলএইচসি চালু হওয়ার মাত্র দশ দিন পর প্রচন্ড শীতল হিলিয়াম গ্যাস ফুটো হয়ে বেরিয়ে এর লম্বা টানেলের ব্যপক ক্ষতিসাধন করে যা মেরামত করতে দুই বছর লেগে যায়। এরপর অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পরবর্তী পরীক্ষণ গুলো সম্পন্ন করা হয় এবং এর থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত সমুহ বিশ্লেষণ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সারা বিশ্বের প্রায় ১০ হাজার বিজ্ঞানী।সম্প্রতি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে স্ট্যান্ডার্ড মডেলে বর্ণনাকৃত বহুল প্রত্যশিত হিগস বোসন কনিকার সদৃশ কনিকা পাওয়া গেছে বলা হয়। কর্ম ক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার পর তিন দশক পুরানু এই স্ট্যান্ডার্ড মডেল নিয়ে আরও বিস্তর গবেষণা চালানো হবে যা ব্যখ্যা করতে পারে পদার্থের গভীরে অতি পারমানবিক কনা সমুহ কিভাবে আচরন করে । সেই সাথে বহু মহাবিশ্বের ধারনা প্রদানকারী এম-থিওরি যা কিনা একটি পূর্ণাঙ্গ ঐক্যবদ্ধ তত্ত্ব হবার জন্য যোগ্য প্রার্থী তা নিয়েও চালানো হবে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা।
মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ এই গবেষণাকেন্দ্রটি নির্মানে ব্যয় হয় প্রায় ৮ হাজার কোটি ইউ এস ডলার।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
গম্ভীর ছেলেদের বেশি পছন্দ করে মেয়েরা
হাশিখুশি নয়, বরং গম্ভীর ছেলেদেরই বেশি পছন্দ করে মেয়েরা। অন্যদিকে, ছেলেদের ক্ষেত্রে ভাললাগার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ বিপরীত। ছেলেরা হাশিখুশি মেয়েই বেশি পছন্দ করে। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীদের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গবেষণায় ১ হাজারের বেশি নারী-পুরুষকে এমন কিছু ছবি দেখানো হয় যেগুলোতে বিভিন্ন অভিব্যক্তির চেহারা ফুটে উঠেছে। এরপর ভাললাগার ভিত্তিতে ছবিগুলোকে নাম্বার দিতে বলা হয়। ছবিগুলোতে কিছু ভাবলেশহীন চেহারাও ছিল। এরপর দেখা যায়, মেয়েরা সবচেয়ে কম আকৃষ্ট হয়েছে হাশিখুশি পুরুষদের প্রতি। অন্যদিকে, গর্বে যাদের মাথা উঁচু তাদের প্রতি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। এছাড়া লাজুক চেহারার ছেলেদের প্রতিও তাদের আকর্ষণ দেখা গেছে।
গবেষকরা বলছেন, হাশিখুশি মেয়েদের অনুগত হিসেবে দেখা হয় বলে সম্ভবত ছেলেরা তাদের পছন্দ করে। অন্যদিকে, গবেষক জেসিকা ট্রেসি বলেছেন, “গর্ব হতে পারে পুরুষের আত্মবিশ্বাস এবং জীবনসঙ্গিনী ও সন্তান ভরণ পোষণ করার মত সামর্থ্যরে ইঙ্গিতবাহী সূচক।” গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব ছেলের চেহারায় গর্ব ও লজ্জার অনুভূতি ফুটে উঠে তারা সহজেই নারী হৃদয় জয় করতে পারে।
লেখাটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছেঃ http://www.sciencetech24.com-এ
No comments:
Post a Comment